Friday, September 11, 2009

১৫ই আগষ্ট, কোরিয়াতে অবস্থিত বাংলাদেশ এম্বাসীতে একদিন



গত মাসের ১৫ তারিখ (আগষ্ট) ছিল বাংলার ইতিহাসে এক কলংকিত দিন কেননা এই দিনে ১৯৭৫ সালে শহীদ হয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারবর্গ। আর তাই বাংলাদেশে এই দিন জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের সাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে যে মানুষটির নাম উচ্চারণ না করলেই না, তিনি হচ্ছেন শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশে ২টি পার্টির একটির নেতৃতে ছিলেন এই নেতা। যাইহোক,পার্টি নির্বাচনের ক্ষেত্রে, একেকজনের একেক মত থাকতে পারে কিনতু, মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজুবুর রহমানের ভূমিকা কেউ অসীকার করতে পারবে না।

১৫ই আগষ্ট উপলক্ষে কোরিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ এম্বাসী যথারীতি ছোট্র পরিসরে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। সৌভাগ্যক্রমে আমি সেখানে একজন আমন্ত্রিত অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। আমি মোটামোটি এম্বাসীর সবাইকে চিনি এবং আমার সাথে সবারই বেশ ভাল একটা সম্পর্ক রয়েছে। তাই তারা যে কোন অনুষ্ঠানে আমাকে দাওয়াত দিতে ভুল করে না। আমি যথারীতি দাওয়াত পেয়ে বেশ খুশিই হয়েছিলাম যে, যাক অনেকদিন পরে ভালমন্দ কিছু খাওয়া যাবে। যাই হোক, ১৫ই আগষ্ট সকালে লুনা, মহিলা এবং আমি সকালে এম্বাসীতে গিয়ে হাজির হলাম। সেইদিন আমি পাঞ্জাবী পরেছিলাম। সাধারণত যেকোন বাংলাদেশী অনুষ্ঠানে আমি গেলেই সেই পাঞ্জাবী পরে যাই। যথারীতি জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হল। তারপর শুরু হল বক্তৃতার পালা।

যথারীতি আমাকে বক্তৃতা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হোল। সাধারণত আমি বক্তৃতা দিতে পছন্দ করি না। আমাকে গান গেতে বলা হলে আমি গেতে পারি, নো প্রব্লেম। যাইহোক আমি ছোটখাট একটা বক্তৃতা দিয়ে দিলাম। সবাই দেখলাম ভালই হাততালি দিল। আমি অপেক্ষা করছিলাম কখন বক্তৃতার পালা শেষ হবে, কেননা আমি আগেই জেনেছিলাম, বক্তৃতা পর্বের পরেই ভালমন্দ খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১ ঘন্টা পরেই খাবারের জন্য উপরে ডাকা হলো। ভুনা খিচুরি, সেই সাথে মুরগির ভুনা (গরুর ভুনা হলে আরও ভাল হত), ডিমের তরকারী, সালাদ, আবার সেই সাথে পায়েশ দেখে জিভে পানি না এসে উপায় ছিলনা। যাইহোক, খাবার দেখে খাবারের উপরে ঝাপিয়ে পরার মত অবস্থা। কোন রকমে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করলাম অসভ্য আচরণ থেকে। বেশ গাপুতগুপুত করে ২-৩ প্লেট খেয়ে ফেললাম। লুনা বারবার বলতে ছিল, হে জামালী বেশ দেখি টানছো। যাইহোক, কারো কথা তোয়াক্কা না করে, আমি আমার মত যত পারি, টানতে লাগলাম। অবশেষে খাবারের পালা শেষ হলো। আমি এর মধ্যে রাত্রে যদি খেতে না হয়, শেই পর্যন্ত খেয়ে নিয়েছিলাম। যাই হোক খাবার পালা শেষ হবার পরে ঘরে যাবার সময় হোল। রুমে আসার সাথে সাথে ভারি একটা ঘুম দিতে মোটেও দেরি হল না। আবার কবে এম্বাসী থেকে ফোন আসবে............... আর একটু ভালমন্দ খাওয়া .........।। অহ ইয়াম্মী ইয়াম্মী...........সেই অপেক্ষায় আছি।

No comments: