দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট কিম দায়ে জুং মঙ্গলবার ৮৫ বছর বয়সে মারা গেছেন। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী কিম দক্ষিণ কোরিয়ার গণতান্ত্রিক সংগ্রামে নেতৃত্ত দিয়েছেন। তিনি ১৯৯৮ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং ২০০৩ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ত পালন করেন। সিউলের সেভেয়ারেল হাসপাতালের এক মুখপাত্র বলেন, তিনি নিউমোনিয়া নিয়ে ১৩ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি হন। কিম ২০০০ সালে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে প্রথম শীর্ষ বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন। তার এ প্রচেষ্টার জন্য একই বছর তিনি শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার পান।
ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল দল গ্র্যান্ড ন্যাশনাল পার্টি এক বিবৃতিতে বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়া তার মহান নেতাদের একজনকে হারালো। কিম গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্কোন্নয়নে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। দেশটির প্রধান বিরোধী দল কিমকে যুগের মহান শিক্ষক হিসেবে অভিহিত করেছেন।
কিম দক্ষিণ কোরিয়ার সেনা সমর্থিত সরকারের আমলে আততায়ীর হামলা, মৃত্যুদণ্ড, জেল ও নির্বাসন দণ্ড এবং বহু ধরনের নির্যাতনের শিকার হন। আমেরিকার চাপে তিনি মৃত্যুদণ্ড থেকে রেহাই পান।
No comments:
Post a Comment